৩৬ বছর আগে ১৯৮৬ সালে দিয়াগো ম্যারাডোনার হাত ধরে সবশেষ বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। এবার লিওনেল মেসির হাত ধরে আবারও বিশ্বকাপ জেতার দ্বারপ্রান্তে লাতিন আমেরিকার এই দলটি।
কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত মোট ৬টি ম্যাচের ৫টিতে জিতেছে আর্জেন্টিনা। একই রেকর্ড ফ্রান্সেরও। গ্রুপ পর্বে দুদলই নিয়েছে পরাজয়ের স্বাদ। চলুন জেনে নেই কোন দলকে কত গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে এলো ফ্রান্স এবং আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনা: গ্রুপ পর্ব
আর্জেন্টিনার ফাইনালে ওঠার যাত্রাটা সহজ ছিল না। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই হার দিয়ে শুরু হয় আর্জেন্টাইনদের। সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হেরে ভক্তদের হতাশ করে দেয় মেসির দল। দ্বিতীয় ম্যাচে মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারায় আলবিসেলেস্তেরা। আর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে একই ব্যবধানে পোল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোতে ওঠে আর্জেন্টিনা।
ফ্রান্স: গ্রুপ পর্ব
আর্জেন্টিনার কাতার বিশ্বকাপ পরাজয়ের মাধ্যমে শুরু হলেও ফ্রান্সের ক্ষেত্রে তা হয়নি। অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শুভ সূচনা করে ফ্রান্স। দ্বিতীয় ম্যাচে ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে নকআউট নিশ্চিত করে এমবাপ্পে-গ্রিজম্যান বাহিনী। শেষ ম্যাচে তিউনিশিয়ার বিপক্ষে বদলি একাদশ নিয়ে খেলে ১-০ গোলে হারে ফ্রান্স।
আর্জেন্টিনা: নকআউট পর্ব
শেষ ষোলোর ম্যাচে মেসিরা ২-১ গোলে হারায় অস্ট্রেলিয়াকে। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ম্যাচটি ছিল এবারের বিশ্বকাপের অন্যমত আকর্ষণীয় ম্যাচ। নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে সমতায় থাকার পর টাইব্রেকারে নির্ধারিত হয় ম্যাচভাগ্য। পেনাল্টি শুটআউটে ডাচদের ৪-৩ গোলে হারিয়ে শেষ চারে পৌঁছায় আর্জেন্টিনা। সেমিতে নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা
ফ্রান্স: নকআউট পর্ব
শেষ ষোলোতে পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে ফ্রান্স। কোয়ার্টার ফাইনালেও ২-১ গোলে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে অপ্রতিরোধ্য ছিল ফ্রান্স। আর সেমিফাইনালে মরক্কোকে ২-০ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স।
Leave a Reply