তৌহিদুর রহমান, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধিঃখুলনার কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের ৬৬ নং উলা কুশোডাংগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এস এম আব্দুল বারী নামের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের সভাপতি মোঃ হযরত আলীর স্বাক্ষর জাল করে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ফান্ডের (স্লিপ) বরাদ্দের টাকা আত্মসাত করেছেন ,এই মর্মে হযরত আলী কয়রা উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং অভিযোগের অনুলিপি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর উপপরিচালক খুলনা বিভাগ, জেলা শিক্ষা অফিসার খুলনা, কয়রা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক সোনালী ব্যাংক কয়রায় প্রেরণ করেন। লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায় যে, অত্র প্রতিষ্ঠানের ২০২০- ২১ ও ২০২১-২২ অর্থ বছরের সরকারী বরাদ্দকৃত অর্থ ৩,১৮০০০ টাকা পায় এবং ১৩/১০/২২ তারিখে বিদ্যালয়ের অফিসে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বৃন্দকে নিয়ে হিসাব নিকাশের শুরু করেন প্রধান শিক্ষক ৩১৮০০০ টাকার টাকার মধ্যে ১,১৮০০০ টাকার ক্রয়কৃত মালামালের ভাউচার দেখান বাকী দুই লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন।২০২২ সালের বরাদ্দ কৃত অর্থ সিমীত ব্যায় করে বাকী কাজ স্থগিত রাখেন। এমত অবস্থায় আমি জানতে পারি যে, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের কাগজে আমার স্বাক্ষর নকল করে উল্লেখিত বরাদ্দ কৃত অর্থ ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেন। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ বলেন প্রধান শিক্ষক সরকারী নিয়ম না মেনে পরীক্ষার প্রশ্ন ফি বাবদ টাকা আদায়, নিদিষ্ট সময়ের পূর্বেই স্কুল ছুটি দেওয়া সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করেন তিনি। অভিযোগ কারী হযরত আলী জানান আমি অভিযোগ করার পর প্রধান শিক্ষক তদন্তে আসার পুর্বে স্কুলের মালামাল ক্রয় করেছেন।এ অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার সকাল ১১ টায় অত্র বিদ্যালয়ে কয়রা উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেন, ভুধর চন্দ্র সানা, এম আবু খালিদ জনসম্মুখে তদন্ত করেন। তদন্তস্থলে অভিযোগের কাগজ স্থানীয় একজনের কাছ থেকে নিয়ে দেখতে থাকেন সাংবাদকর্মীরা হঠাৎ কয়রা উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেন তাদের কাছ থেকে কাগজটি ছিনিয়ে নেয় এবং অশোভন আচরণ করেন। আনোয়ার হোসেন কয়রায় যোগদানের পর ৪নং কয়রা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে স্কুল চলাকালীন সময়ে সুন্দরবন ভ্রমণের অভিযোগে শোকেজ করেছিল কয়রা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। কুশোডাংগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারী জানান সভাপতি সাথে আমার ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল সেটা মিটে গেছে।কয়রা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply