নিউজ24আওয়ার ডেস্কঃ আল-বায়েত স্টেডিয়ামে কোস্টারিকাকে ৪-২ গোলে হারিয়েছিল জার্মানি। তারপরও জার্মানির দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া নির্ভর করছিল জাপান-স্পেন ম্যাচের ওপর। যে ম্যাচটিতে জাপান হারলে বা ড্র করলে জার্মানরা চলে যেত শেষ ষোলোয়। কিন্তু স্পেনকে ২-১ গোলে জাপান হারালে বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় জার্মানিদের। যেখানে জাপানের একটা ‘বিতর্কিত’ গোল রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দিয়েছে।
জাপান-স্পেন ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পর ৫১ মিনিটে গোল করে জাপানকে এগিয়ে দেন তানাকা। তবে কাওরু মিতোমার যে পাস থেকে তানাকা গোল করেন, সেটা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক।
একাধিক মহলের তরফে দাবি করা হয়, মিতোমা যখন পাস করেন, ততক্ষণ বলটা লাইন পেরিয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ গোলটা বৈধ নয়। নিজেদের দাবির সপক্ষে একটি ছবিও দেখাতে থাকেন তারা। যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে, তাতে দেখে মনে হবে যে বলটা লাইন পেরিয়ে গিয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, যদি ‘এরিয়াল ভিউ’ (ওপরের দিক থেকে ভিউ) থেকে বলের কোনো অংশ লাইনের মধ্যে থাকে, তাহলে সেই বল মাঠের মধ্যে আছে বলে ধরা হবে এবং খেলা চালিয়ে যেতে হবে। অর্থাৎ গোললাইন টেকনোলজিতে যেভাবে ‘এরিয়াল ভিউ’ থেকে দেখে নির্ধারণ করা হয় যে বল গোললাইন পেরিয়েছে কিনা, ঠিক সেভাবেই বল মাঠের বাইরে গিয়েছে কিনা, তা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেহেতু ‘এরিয়াল ভিউ’-তে বলের পুরো ১০০ শতাংশ লাইন পার করেনি, তাই জাপানের পক্ষে সিদ্ধান্ত গিয়েছে।
ওই গোলের সিদ্ধান্ত নিয়ে আরও বিতর্ক শুরু হয়েছে, কারণ জাপানের ওই গোল বাতিল হয়ে গেলে বিশ্বকাপের নক-আউট পর্যায়ে চলে যেত জার্মানি। এমনিতে স্পেনকে হারিয়ে গ্রুপ ‘ই’-তে শীর্ষ স্থানে শেষ করেছে জাপান (ছয় পয়েন্ট)। স্পেন চার পয়েন্টে আটকে থেকেছে। জার্মানির চার পয়েন্ট থাকলেও গোল পার্থক্যে স্পেন নক-আউটে গিয়েছে।
কিন্তু জাপান-স্পেন ম্যাচ ড্র হলে (ওই গোলের কারণেই জাপান-স্পেনের ম্যাচের ফল ২-১ হয়, ততক্ষণ ১-১ চলছিল) জাপানের পয়েন্ট দাঁড়াত চার। স্পেনের পয়েন্ট হতো পাঁচ। তখন গ্রুপের শীর্ষে থেকে স্পেন নক-আউটে চলে যেত। গোলপার্থক্যে এগিয়ে থাকায় জাপানকে ছাপিয়ে ‘রাউন্ড অফ ১৬’-এ চলে যেত জার্মানি।
চার পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ ষোলোতে নাম লেখায় স্পেন। সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় হেভিওয়েট জার্মানি। অন্যদিকে ছয় পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপসেরা হয়ে নকআউটে নাম লেখায় জাপান।
Leave a Reply