নিউজ24আওয়ার ডেস্কঃ বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে সামনে রেখে রাজধানীর প্রবেশপথ আমিনবাজারে চেকপোস্ট বসিয়ে যাত্রীদের তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এ সময় কাউকে সন্দেহভাজন মনে হলেও ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া মোটরসাইকেল এবং গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে সেগুলোর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরেই আমিনবাজার, রেডিও কলোনি, বাইপাইল ও আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার চেকপোস্টে যানবাহন থামিয়ে যাত্রীদের তল্লাশি করতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।
সরেজমিনে সাভারের আমিনবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আমিনবাজার ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সামনে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এখানে দায়িত্ব পালন করছে ঢাকা জেলা পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। এছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও পুলিশকে সহযোগিতা করছে।
দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা কোনো দুরপাল্লার বাস আসলেই সেটিকে সিগন্যাল দিয়ে থামিয়ে দিচ্ছে। এরপর কয়েকজন পুলিশ সদস্য গাড়ির ভিতরে ঢুকে যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশির পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্র দেখছেন। এ সময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়া গেলে এবং কাউকে সন্দেহভাজন মনে হলে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া মোটরসাইকেল এবং ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে তল্লাশির পাশাপাশি গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক না থাকলেই দেয়া হচ্ছে মামলা।
ঢাকা উত্তরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) আব্দুস সালাম বলেন, ঢাকার প্রবেশমুখ গাবতলী ও আমিনবাজার এলাকায় বড় একটি চেকপোস্ট পরিচালিত হচ্ছে। দূরপাল্লার যানবাহনগুলোতে তল্লাশি চালানোর কারণে যানবাহনগুলো কিছুটা ধীরগতিতে চলছে। তবে গাড়ির সংখ্যা কম থাকায় এবং যাত্রীর চাপ না থাকায় কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না।
পুলিশ বলছে, এটি তাদের রুটিন কাজ। দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে যাতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড না ঘটে, সে জন্য ঢাকার প্রবেশমুখ আশুলিয়া ও আমিনবাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। তবে যাত্রীদের ঢাকায় প্রবেশে কোনো বাঁধা নেই।
ঘটনাস্থলে থাকা সাভার চামড়া শিল্পনগরী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রাসেল মোল্লা বলেন, আমরা দূরপাল্লার যানবাহন, বিশেষ করে দূরপাল্লার বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারগুলো ঢাকার প্রবেশমুখ আমিনবাজার পুলিশ চেকপোস্টে চেক করছি। নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে তল্লাশি করা হলেও কোনো যাত্রীকে হয়রানি করা হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি এবং কাউকে আটকও করা হয়নি বলে জানান তিনি।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম, অবস ও পুলিশ) আব্দুল্লাহ হিল কাফি জানান, সম্প্রতি ঢাকায় আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমাদের প্রতি কিছুটা নির্দেশনা এবং কিছু ম্যাসেজ রয়েছে। যে কারণে চেকপোস্ট, ব্লক রেইডসহ আমাদের নানাবিধ অভিযান চলছে। যেন নতুন করে কোনো জঙ্গি যেন এদিকে না আসতে পারে, কেন না তাদের এদিকে আসার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের উদ্দেশ্যেই এই ধরনের কার্যক্রম চলমান।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স থেকে আমাদের একটি নির্দেশনা এসেছে, আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। এই বিজয়ের মাসে যাতে কেউ নতুন করে নাশকতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের এই চেকপোস্ট, ব্লক রেইডসহ বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে।
Leave a Reply